নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড এখন উন্নয়নের রোল মডেল, স্মার্ট ওয়ার্ড গড়তে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হতে চান তৌহিদুল হক সুমন। ওয়ার্ডবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবার মান পৌছে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন সুমন। সেই সেবার মান আরও উন্নত করতে দ্বিতীয় দফায় আবারো ওয়ার্ডবাসির মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হবার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন তিনি। এরই মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন তিনি। গতবার নির্বাচনে “আস্থা রাখুন,পাশে থাকুন” স্লোগানে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই স্লোগানের মতোই তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছিলেন ওয়ার্ডবাসী, তিনি পাশে ছিলেন ওয়ার্ডবাসীর। যার ফল স্বরুপ ওয়ার্ডবাসী পেয়েছে কাংখিত সেবা ও ডিজিটাল রোল মডেলের ওয়ার্ড। এবার তিনি ওয়ার্ডবাসীকে একটি স্মার্ট ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যাশা দিয়ে নানাবিধ বাধাবিপত্তি আর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জনসমর্থন পাচ্ছেন। তাঁর দায়িত্বকালিন সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকার নাগরিক ভোগান্তি কমাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন তিনি। ওয়ার্ডের সেবাগ্রহীতার উপর তিনি সেবার মান বিচারের ভার দেন। যদি সেবার মান ভালো হয়ে থাকে তাহলে আবার ওয়ার্ডবাসী তাঁকে নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী তিনি।গতবার ২০১৮ সালের রাসিক নির্বাচনে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই তৌহিদুল হক সুমন পেয়েছিলেন ৮৯০৮ ভোট।সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালিন কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টিটো কে সুমন হারিয়েছিলেন ২০২৮ ভোটের ব্যবধানে।তৌহিদুল হক সুমন ১৯নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব নেবার পর পূর্ববর্তী কাউন্সিলরের ফেলে রাখা বিশাল পরিসরের কাজগুলোকে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাপ্ত করেন।এছাড়াও ওয়ার্ডবাসির প্রাত্যহিক দুর্ভোগ কমানোর লক্ষ্যে রাসিকের প্রথম সাধারণ সভায় ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট একটি চাহিদাপত্র উপস্থাপন করেন।প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েই তিনি একইসাথে নজর দিয়েছিলেন নাগরিকসেবার জরুরী খাতগুলোর দিকে।সে লক্ষ্যে তিনি সমস্ত ওয়ার্ড পরিদর্শন করার পাশাপাশি স্থানীয়দের সাথে কথা বলে রাসিকের প্রথম সাধারণ সভায় সর্বমোট ৩৫৭টি রাস্তা(৪৩ টি প্রধান সড়ক,২৫৪ টি শাখা রাস্তা ও ৬০টি কাঁচা/মাটির রাস্তা),১৫০টি নতুন বৈদ্যুতিক পোলসহ ২১২টি ছোট-বড় ড্রেন সংস্কার ও নির্মাণ ছাড়াও ড্রেনের কাঁদামাটি অপসারণের জন্য ক্রাস কার্যক্রম জরুরী উল্লেখপূর্বক উক্ত সভায় একটি চাহিদাপত্র উপস্থাপন করেন।ইতিমধ্যেই উক্ত চাহিদাপত্রের বিপরীতে প্রায় আশি শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এছাড়াও বেশকিছু কাজ চলমান রয়েছে বলে দাবি সুমনের।তিনি আরো জানান,যে রাস্তাগুলোতে পূর্ববর্তী কোন সময়েই বৈদ্যুতিক সংযোগের কোন ব্যবস্থাই ছিল না।ঐসকল স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে তিনি ১৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় আশি শতাংশ নাগরিক সেবার খাতগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে দাবি সুমনের।তিনি বলেন,দ্বিতীয় মেয়াদে জনগণ যদি আমাকে আবারো নির্বাচিত করে তবে,নাগরিক সেবার অবশিষ্ট বিশ শতাংশ কাজ আমি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবো ইনশাল্লাহ।এছাড়াও এই ঘিঞ্জি ওয়ার্ডকে আধুনিক একটি ওয়ার্ডে রূপান্তর করার স্বপ্ন আছে আমার।রাসিকের সবচাইতে বেশি জনসংখ্যা অধুষ্যিত এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পূর্ববর্তী সময়ে তেমন কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা না পেলেও বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি সেক্টরে ছোয়া উন্নয়নের।যেটি এখনো চলমান রয়েছে।তিনি আরো জানান,আমি দায়িত্ব নেবার পর থেকে এপর্যন্ত প্রায় হাজারখানেক মানুষকে বয়স্ক ভাতাসহ আড়াইশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। যেটা পূর্ববর্তী সময়ে কখনোই এতো বেশি পরিমাণে হয়নি।এছাড়াও নতুন করে আরো একশজন প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে।ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিনোদন সেবাকে নিশ্চিত করতে ছোটবনগ্রাম এলাকায় একটি শিশু পার্ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।স্টেডিয়াম থেকে শিরোইল কলোনী হয়ে ভদ্রা পারিজাত লেক পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এই উদ্যোগ সম্পন্ন হলে শিরোইল কলোনী এলাকায় ছোয়া লাগবে আধুনিকতার।চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ব্যবসায়ি মহল ও নগরবাসির কাছে।১৯৬ জন তালিকাভুক্ত বস্তিবাসির প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে। এছাড়াও ৪৪ জনকে দেয়া হয়েছে ১০ হাজার আর ৪২ জনকে দেয়া হয়েছে নয় হাজার করে।প্রশিক্ষিত নাগিত আর মুচিদেরকে আর্থিক সহোযোগিতার জন্য দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।এছাড়াও করেনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে ২২৯৬ জন অসহায় আর খেঁটে খাওয়া মানুষকে কয়েক দফায় জন প্রতি নগদ ২৫০০ টাকা অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।একশ পরিবারকে দেয়া হয়েছে নগদ একহাজার করে।করোনাকালিন ১০ হাজার ২০০ জন ব্যক্তিকে সহোযোগিতা করা হয়েছে চাল দিয়ে।আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ করে উদ্ভব হওয়া উর্দ্ধগতির এই বাজারে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য কেনার জন্য সরকারের বিশেষ সহোযোগিতা হিসেবে দেয়া হয়েছে ৬০০ পরিবারকে‘ওএমএস’ কার্ড।শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সহোযোগিতায় শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ৫ম তলা আর ছোটবনগ্রাম আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়টি ৬ তলায় উন্নীত করা কাজ প্রায় শেষের দিকে।জানতে চাইলে সুমন বলেন,দায়িত্বকালিন সময়ে ওয়ার্ডবাসির জন্য কি করেছি সেই সিদ্ধান্তের দায়ভার আমি সেবাগ্রহীতা আর এলাকাবাসির উপরই ছেড়ে দিলাম।তবে এটুকু বলতে কোন পিছুটান নাই যে,আমার দায়িত্বরত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকার নাগরিক ভোগান্তি কমাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছি আমি। বর্তমানে এই ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা,বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়াও নাগরিক সেবার বিভিন্নখাতের প্রায় আশি শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই শেষের পথে।জনবহুল এই ওয়ার্ডের নাগরিক সেবারমানকে আরো বেশি তরান্বিত করা ছাড়াও একটি আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমি সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি বলে মন্তব্য করেন প্রার্থী সুমন।এক প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন,ওয়ার্ডবাসির জন্য আমার এই উন্নয়নমূখি কর্মকান্ড পরিকল্পিতভাবে বাধাগ্রস্থ করার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার,অপবাদ ও দুর