মোঃ মিজানুর রহমান,
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে প্রাথমিকের কোমলমতি ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত আলোচিত প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবার রাস্তায় নামলেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।প্রতিবাদের ঝড় বইছে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।সম্প্রতি নিকলী উপজেলার ২৫ নং জারইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে নিজ বিদ্যালয়ের বেশ কিছু মেয়ে শিক্ষার্থী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন।শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি,অফিস কক্ষে ছাত্রীদের নিয়ে মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখানোসহ লজ্জাস্থানেও হাত দিতেন এই শিক্ষক।ছাত্রীদের টয়লেটে ডুকে পড়াসহ তার প্যান্টও খুলে ফেলতেন ছাত্রীদের সামনে।এ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন অভিযুক্ত শিক্ষক।টনক নড়ে প্রশাসনের।তদন্ত করা হয় তার বিরুদ্ধে।অন্যত্র দ্রুত বদলিও করা হয় তাকে।বেশকিছুদিন পরে অভিযুক্ত শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো অভিযোগ তুলেন বিভিন্ন মহলের প্রতি।এতে তিনি যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেও আখ্যায়িত করেন।এবার তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনেই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে শতশত এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা।২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টা থেকে দুই ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তারা বলেন,একজন শিক্ষক যদি ছোট ছোট বাচ্চাদের যৌন নির্যাতন করেন তাহলে তিনি নিশ্চিত মানসিক অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করানো দরকার।বক্তারা আরো দাবি করেন,তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অফিস কক্ষে এমন নিকৃষ্ট কাজগুলো গোপনে করে আসছেন।ছোট বাচ্চারা লজ্জায় ও তার ভয়ে এতোদিন মুখ খুলতে পারেননি।অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের জন্য শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।বাচ্চারা এখানে ভর্তি হতে চায় না।এমনটিও দাবি বক্তাদের।বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি,এই শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক যেনো তা দেখে ভবিষ্যতে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করার দুঃসাহস না পায় আর কেউ।