বিশেষ প্রতিবেদক:
দিনের বেলায় শুনসান নিরবতা, সন্ধ্যা গড়িয়ে একটু অন্ধকার হলেই শুরু হয় মাটি বিক্রির মহাউৎসব। ৫ টি ভেকু মেশিন অর্ধশত কাঁকড়া গাড়ি একের পর এক মাটি ভর্তি গাড়ি চলে যাচ্ছে ইটভাটায় অন্যদিকে চলাচলের অযোগ্য কর্দমাক্ত মহাসড়ক যেনো মরনফাঁদ।এভাবেই গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে মাটিকাটা ইউনিয়নের সোনাদীঘিতে চলছে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ।গণমাধ্যম কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে দিনের আলোর বদলে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে পুকুর খেকোরা।রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুকুর খননে প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যজনক।উপজেলা প্রশাসন বলছে এমন কোন অভিযোগ জানা নেই অথচ পুকুর মালিক বলছেন সব ম্যানেজ করা আছে।অভিযোগ ওঠেছে,পুকুর খননে ভূমির শ্রেনী পরিবর্তনসহ নানান জটিলতা থাকলেও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছেন তোতা নামের এক পুকুর ব্যবসায়ী। গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোহেলের সাথে তোতার ভালো সক্ষতা ছিলো।সেই প্রভাব দেখিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করেই দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে পুকুর খনন।শীত মৌসুমের শুরুতেই ভূমি ও ফসলি জমি সুরক্ষা আইন উপেক্ষা করে গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদীঘিতে প্রায় ৩০বিঘা জমিতে সংস্কারের নামে চলছে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি।সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন এতে একদিকে যেমন খাদ্য শস্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে,অন্য দিকে মাটি পরে কর্দমাক্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক।চরম দূর্ভোগে পরছেন পথচারীরা।এ বিষয়ে পুকুর খননকারী তোতা জানান,আমার পুকুর খনন কেউ বন্ধ করতে পারবেনা আমার সব অনুমতি আছে।এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত প্রতিবেদককে জানান, আপনি একটা লিখিত অভিযোগ দেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।এর আগেও একই পুকুরে অভিযান করে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছিলো এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আপনার সাথে আমার পরিচয় নাই অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলবো।