আশরাফুল ইসলাম রাজন-কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার উদ্যমী তরুণ উমর ফারুকের স্বপ্ন এবার বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ছুটেছে চীনের পথে।নিজের মেধা,পরিশ্রম,এবং দৌঁড়বিদ হিসেবে প্রতিভার মাধ্যমে তিনি আজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।ছোটবেলা থেকেই দৌড়ের প্রতি ছিল তার বিশেষ ভালোবাসা।সেই শখের পথ ধরে আজ তিনি পৌঁছেছেন চীনের বেইজিংয়ে,যেখানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।উমর ফারুকের শৈশব থেকেই দৌড়ের প্রতি ছিল আলাদা টান।স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার। তবে তার প্রকৃত যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে গোপালগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাফ ম্যারাথনে।ওই প্রতিযোগিতায় ৫০০ পেশাদার এবং অপেশাদার প্রতিযোগীর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করে নজর কাড়েন তিনি।এরপর ২০২০ সালে গ্ল্যাক্সোস ডি ঢাকা হাফ ম্যারাথনে ১৯টি দেশের অংশগ্রহণে ২২০০ প্রতিযোগীর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেন।এর মাধ্যমে উমর ফারুক প্রমাণ করেন,আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায়ও তিনি দেশের নাম উজ্জ্বল করতে সক্ষম।উমর ফারুকের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানো সহজ ছিল না।ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখলেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।পরিবারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা,প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব,সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি ছুটেছেন নিজের লক্ষ্যের দিকে।তার বড় ভাই আবুল বাশারের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা তাকে প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিতে সাহস জুগিয়েছে।উমর ফারুক কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের বাসিন্দা।তার বাবা আনোয়ারুল হক এবং মা নাসরিন আক্তারের গর্বিত সন্তান তিনি।পাকুন্দিয়ার হাজী জাফর আলী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে দৌড়বিদ হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নে লেগে পড়েন তিনি।চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতে উমর ফারুক নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারা তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল।উমর ফারুক জানান, “ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশের বাইরের কোনো বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। আজ সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগোতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।”