নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।নিম্নমানের পাথর,বালু ও এ্যাকোয়ার কেটে মাটি ভরাট করায় এলাকাবাসীর নিষেধ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন কর্ণপাত করছে না।ফলে এলাকাবাসির মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে,সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় টিটুএসসেভেনটি সেচ ক্যানেলের পূর্ণবাসন ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ও এসওয়ানবি ক্যানেলের উভয় ডাইক সংস্কার পূর্ণবাসন কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।সংস্কার ও পূর্ণবাসন কাজ দুটি করছেন পটুয়াখালির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদ ও মতিঝিল ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লিটন সিকদার(জেভি)।এলাকাবাসী দুলাল,মোকলেছার রহমান,রফিকুল ইসলাম,তরিকুল ইসলাম,কইদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি মাটির কাজে ব্যাপক দূর্নীতি করেছে। কার্যাদেশের নিয়মানুযায়ী বাইরে থেকে উভয় ডাইকে মেরামতের জন্য বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে এনে মেরামত করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে ক্যানেলের এ্যাকোয়ার কেটে মেরামত কাজ করছেন যা একেবারেই নিয়ম বহিভূত। এতে এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।এছাড়া ক্যানেলের সিসি লাইন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নিম্নমানের বালু ও মরা পাথর।এলাকাবাসী এ ধরনের নিম্নমানের কাজ করতে বার বার নিধেষ করলেও পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ সাধারণ মানুষের কথা কর্ণপাত করছেন না।এসওয়ানবি ক্যানেলের জিকরুলের বাড়ীর কাছে দুইাটি লোহার পাইপ তুলে বিক্রি করে দিয়েছে ওর্য়াক এ্যাসিসটেন্ট বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।তবে ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ ও লিটন সিকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- কাজ নিয়মানুযায়ী করা হচ্ছে। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান-এখানে এ্যাকোয়ার থেকে মাটি কাটার কোন সুযোগ নাই,যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটে তাহলে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এর সাথে জড়িত না।