শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব নির্ভিক বীর শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি, স্বাধীন মাতৃভূমি। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।আজ (১৬’ই ডিসেম্বর ২০২৪) রবিবার মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃআশাদুর রহমান। এবং দৈনিক ঢাকা পত্রিকা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সাপ্তাহিক পত্রিকা দেশপ্রিয়,শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া MCB news24 চেয়ারম্যান,শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,প্রধানউপদেষ্টা অনিতোশ বালা।তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬’ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয় পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে। বাংলাদেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তাই ১৬’ই ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। আজকের এ মহান দিনে আমি সে সব শহীদ হওয়া বীর যোদ্ধাদের, শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি, শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি,যে সব মা-বোন তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।অধিকারহারা শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্বাধীনতার পর সর্বনাশা ফ্যাসিষ্ট গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছেন।মোঃ আশাদুর রহমান আরো বলেন, ১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের নীলনকশা আজো বিদ্যমান। আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনাশ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ওই অপশক্তির এদেশীয় দোসররা নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে। এদেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অদৃশ্য করে মানুষকে করে অধিকার হারা। এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা করা হয়। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে অদৃশ্য ও হত্যা করে, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যময় হয়ে উঠে। ওই অশুভ শক্তি নীলনক্শা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করেছে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে মহান বিজয় দিবসের প্রেরণায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে। দেশে আবার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা জেগে উঠেছে।মহান বিজয় দিবসে সকলকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা ও শহীদ হওয়া সকল বীর শহীদদের প্রতি, সাপ্তাহিক দেশপ্রিয় পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।