২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জামায়াত -শিবিরের ৭ জন নেতাকর্মীদের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়,এবং প্রায় পাঁচশোর মতোন আহত হয়েছে।এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা শাখা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা যৌথ উদ্যোগে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।বিক্ষোভ সমাবেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হােসেন সভাপতিত্ব করেন,অনুষ্ঠান সঞ্চালন এবং সার্বিক তত্তাবধান করেন বসুরহাট পৌরসভার আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন,প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার,সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি,প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন,ঢাকা মহানগরী শাখার সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মাদ ইউছুফ,নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক,কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন,নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন,ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ড:মোয়াজ্জেম হোসেন,ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সেক্রেটারি হাফেজ জহির উদ্দিন,নোয়াখালী জেলা ইসলামি ছাত্রশিবির দক্ষিণ শাখার সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ আরও অনেকে।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর তৎকালীন জালিম আওয়ামী সরকারের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র খুনি আব্দুল কাদের মির্জা বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল এবং আমাদের নেতাকর্মীদের শূন্য করতে চেয়েছিল।সেদিন নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট পৌরসভার হত্যাযজ্ঞ ট্রাজেডি ঘটনায় ৭ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর শহীদদের বিনিময়ে আজকের এই সুন্দর দিন পেয়েছি।আগামীতে আর কোন অপশক্তি যেন এরকম তাণ্ডব না চালাতে না পারে সেই জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।আওয়ামী সরকার সবচেয়ে জামাত শিবিরের জুলুম নির্যাতন করেছে।যার-ফলে আজ তারা দেশ ছাড়া হয়েছেন।তাই সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।সুন্দর এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।আলোচনা সভা শেষে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে এবং ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।