এইচ আর বিপ্লব:
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।নিহত মোটরসাইকেল আরোহী মাকসুদা বেগম (৩৫) তাড়াইল উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের বাদেরা গ্রামের মুন্সীবাড়ির মো. ফারুক মিয়ার স্ত্রী। তিন সন্তানের জননী মাকসুদার সাড়ে তিন বছরের কন্যা শিশুটি দুর্ঘটনার সময় তার সাথে ছিল। নিহত মাকসুদার স্বামী মোটরসাইকেল চালক ফারুক জানান, রাস্তার পাশে রক্ষিত পাথরে মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে পড়ে গেলে বিপরীত থেকে ছুটে আসা ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দুর্ঘটনার জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি তাড়াইল উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের ভাদেরা ফেরার পথে স্ত্রীকে হারান বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডিএসকে’র কর্মকর্তা ফারুক। রৌহা গ্রামের খালেদ সাইফুল্লাহ বাশার জানান, সাকুয়া বাজার থেকে রৌহা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই এখানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তিনি রাস্তার পাশে অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নির্মাণ সামগ্রী রাখা এবং রাস্তা প্রশস্তকরন প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকাকে দায়ী করছেন।মায়ের দোয়া স্যানিটারির সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ওমর ফারুক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা ড্রাম ট্রাকের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী মাকসুদা আক্তারের মৃত্যু হয়। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে জানান, ড্রাম ট্রাকটি চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সুরতহালের পর পরিবারের অনুরোধে ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।