শেখ ওবায়দুল হক সম্রাট-নিকলী (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ধর্ষনকে ধামাচাপা দিতে এবং ধর্ষিতাকে ফাসাতে থানায় এসে গ্রেফতার হলেন,ধর্ষক ও কোর্টের এক পেসকার।ধর্ষক শফিকুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের টেংগুরিয়া গ্রামে মৃত শাহাবউদ্দিনের পুত্র সে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে কার্যালয়ের পেসকার জানাগেছে।ধর্ষিতা জানায়,সে একজন তালাকপাপ্ত ও দুই সন্তানের জননী। ধর্ষক শফিকুল সরকারি ছুটির দিনে বাড়ীতে এসে তার প্রতিবেশি বন্ধু আলঙ্গীর হোসেন আলমকে নিয়ে সিংপুর বাজারের একটি ঘরে নিয়মিত মদ্যপান করে।এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে (১০টায়) শফিকুল ইসলাম ধর্ষিতা কে মোবাইলে ডেকে নেন কোর্টের একটি মামলার নকল দেওয়ার জন্য ধর্ষিতা ঐ ঘরের সামনের গেলে শফিকুল ও আলমঙ্গীর (৪০) মামলার নকল নেওয়ার জন্য ঘরের ভিতর নেন।ধর্ষিতা ঘরে গেলে আলমঙ্গীর ঘরের ছিটকারি আটকিয়ে দেন এসময় শফিকুল প্রথমে ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এতে রাজি না হলে,বিল্লাল ও শফিকুল দুজনেই ধর্ষিতার হাত পা ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে পালা ক্রমে দুজই গভীর রাত পর্যন্ত ধর্ষন করে।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে,ধর্ষকের চাচা ও সিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করেন।ধর্ষিতা রাজি না হলে শনিবার দিন রাতে নিকলী থানায় ধর্ষনের অভিযোগ করেন।খবর পেয়ে ধর্ষকরা শত শত গ্রামবাসী নিয়ে থানায় উপস্থিত হন ধর্ষিতাকে প্রতারক ও নিয়মিত দেহ ব্যবসায়ি হিসাবে চিহিৃত করার জন্য।শফিকুলকে থানায় রেখে নিকলী থানা ওসি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। পরিদর্শন শেষে গ্রেফতার করেন।ধর্ষিতা শনিবার রাতেই বাদী হইয়া নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।নিকলী থানা ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন আউচ সংবাদ কে জানান গ্রেফতারকৃত আসামী শফিকুল কে আদালতে ও ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামী আলমকে গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন।(নোট ধর্ষিতা মোছাঃ বেবি আক্তার,পিতাঃ মৃত বিল্লাল মিয়া,গ্রামঃটেংগুরিয়া)বেবি একজন তালাকপ্রাপ্ত ও দুই সন্তানের জননী বয়স (২৫)।