মারামারির ঘটনায় নান্দাইল থানায় মামলা বাদীকে হয়রানী করার জন্য ছাত্র ও চাকুরীজীবির নামে কোর্টে মামলা দায়ের করে হয়রানীর অভিযোগ
প্রকাশিত :
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
১৩
বার পঠিত
নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনগ্রাম চৌরাস্তা বাজারে একটি মারামারির ঘটনায় হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের হলিমা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম গত ৯ অক্টোবর নান্দাইল মডেল থানায় ৩২৬ ধারা সহ বিভিন্ন ধারায় হলিমা গ্রামের হারুন অর রশিদের দুই পুত্র মোঃ পিয়াস (১৯) ও মোঃ আবদুল মান্নান (১৮) নামে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে। মামলায় ১নং আসামী মোঃ পিয়াস বর্তমানে জেল হাজতে আটক রয়েছে।মামলার আসামী পক্ষ মামলার বাদী পক্ষকে অথবা হয়রানি ও মামলা থানা থেকে প্রত্যাহার করে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে বাদী পক্ষের ৬ জনের নামে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ কিশোরগঞ্জে গত ২০ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করে। কোর্টে দায়েরকৃত মামলায় পঙ্গু জিহাদ, ৮ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ জাহিদ, মাহবুব মিয়া, আনসারে কর্মরত জিয়াউর রহমান, ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ শিহাব মিয়া, ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ আরমান মিয়াকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় হামলার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। অথচ বাস্তবে এধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই। নান্দাইল মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভূক্ত ২ আসামীর পিতা মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী পক্ষকে অযথা হয়রানি করার জন্য এই মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি তদন্ত করে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) কে তদন্ত প্রতিবেদন দেবার আদেশ দিয়েছেন। গত ৩রা নভেম্বর স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনাস্থল হলিমা গ্রামে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন মোঃ হারুন অর রশিদ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং এধরনের কোন ঘটনা হলিমা গ্রামে সংগঠিত হয় নাই। নান্দাইল থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদী মোঃ নজরুল ইসলামের পরিবারকে অযধা হয়রানী করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা কোর্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী অভিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে নজরুল ইসলামের পরিবারকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোরদাবী জানিয়েছেন।