মহিউদ্দিন সরকার জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় অটোচালক গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাটিও।পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলার গাবর কালিয়ান গ্রামের হায়েছ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে অটোরিক্সা চালক গোলাম রব্বানীকে রায়বাজার বাসস্ট্যান্ড হতে রিজার্ভ ভাড়া করে ফেনারগাতি নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত।ফেনারগাতি থেকে আবার রায়ের বাজার ফেরার পথে বড় কালিয়ান এলাকায় গোলাম রব্বানীর ওপর তারা অতর্কিত হামলা চালায়।দুর্বৃত্তরা তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে এবং অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় নিহতের ভাগ্নে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ আরও জানান,তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বুধবার (৩০ অক্টোবর)গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে জিয়া রহমান (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।সে ইটনার রায়টুটি ইউনিয়নের কাংলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।এসময় তার সাথে ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটিও উদ্ধার করা হয়।এর আগে ৩০ অক্টোবর ভোরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও এলাকা থেকে বকুল মিয়া (৪২) নামের আর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।বকুল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।স্বীকারোক্তিতে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।পরে তার দেয়া তথ্যমতে জিয়াকে আটক করতে সক্ষম হই এবং অটোরিক্সাটিও উদ্ধার করি।এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।তাদের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।আমরা আশাবাদী,শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকেও গ্রেফতার করতে পারবো।