এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও ( কক্সবাজার)
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে আলাদা সরকারী হাসপাতাল নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর।দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠী জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কক্সবাজার সদর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে ঈদগাঁও উপজেলার লোকজন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার অভাবে বিশেষভাবে শিশু ও নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
জানা যায়,নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার বিপুল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে ঈদগাঁওতে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠালে স্থানীয় পর্যায়ে যাচাই বাছাই করার পর সিএমএমইউ দশ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন বহুপূর্বে।দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি এই সংক্রান্ত ফাইলটি এখনো আলোর মুখ দেখেননি।
আরো জানা যায়,ঈদগাঁওতে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে চাহিদা থাকা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র দিয়েই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্বল্প সংখ্যক মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার আওতায় আসলেও বৃহৎ একটি অংশ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত।এছাড়াও ইসলামাবাদ, ইসলামপুর,জালালাবাদ,পোকখালী ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী সরকারী চিকিৎসা সেবা নিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা সদর হাসপাতালসহ নানান হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন।উপজেলার আওতাধীন পাঁচ ইউনিয়ন ছাড়াও ঈদগড়,বাইশারী,খুটাখালী,রশিদনগর ইউনিয়নে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় হতদরিদ্র পরিবারে লোকজন চিকিৎসা সেবা নিতে ছুটে আসেন ঈদগাঁওতে।এরাও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভর শীল।এখানকার লোকজনের জটিল ও কঠিন রোগ হলেই পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার মতো অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও ওষুধপত্র না থাকায় জরুরী মুহুর্তে ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে হয়।সুচিকিৎসা বা পযাপ্ত সেবা নিশ্চিত করণে ঈদগাঁওতে পূর্ণাঙ্গ সরকারী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা দাবী এলাকাবাসীরঈদগাঁও যুব ঐক্য পরিবারের সভাপতি এবং মিডওয়াইফারী রেহেনা আক্তার কাজল জানান, প্রসূতি মা-রোগীসহ অপরাপর রোগীদের কথা বিবেচনায় যদি ঈদগাঁওতে একটি হাসপাতাল করা হয়,তাহলে ভাল হত।অর্থ ও সময় সাশ্রয় হতো।
সচেতন লোকজনের মতে,হাসপাতালের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে হয়ত ঈদগাঁওবাসী একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারী হাসপাতাল পেতে পারে।জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিধায় জনপ্রতিনিধিরা একটু আন্তরিক হলেই হাসপাতাল করা সম্ভব।চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: কামরুল আজাদ জানান,উপজেলা সরকারি হাসপাতাল প্রক্রিয়াধীন। ১০জন ডাক্তারসহ ৪৭ জন জনবল অনুমোদিত হয়েছে। শীঘ্রই পাঁচ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ভবনের কাজ শুরু করা হবে।