সুৃমন ভট্টাচার্য স্টাফ রিপোর্টার
“তরুণদের সম্পৃক্ত করি,উন্নত নগর গড়ি” প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রশাসন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলায়তনে এ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্যে ময়মনসিংহ গণপূর্ত সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, সকলের জন্য আবাসন ও মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আগামীর আধুনিক ও উন্নত নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি এবং তাদের বিভিন্ন মতামত নিয়ে আমরা কাজ করবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিশ্ব বসতি দিবসে, আশ্রয়ের মৌলিক অধিকারকে পুনরায় নিশ্চিত করা এবং শহরের পরিবেশের রূপান্তর প্রতিফলিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য উন্নত নগর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে শহরে ৭০ শতাংশ বাসিন্দা হবে তরুণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সাথে সাথে শহরগুলি যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি শহরে চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগও বাড়াতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ন্যায় সংগত ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সম্ভাবনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে শিক্ষায় বিনিয়োগ, ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা জোরদার করা এবং জলবায়ু মোকাবেলায় তরুণদের নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে উৎসাহিত করা, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নিশ্চিত করা ও সকল খাতে টেকসই গতিশীলতা আনয়ন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় জেলার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আবাসন গড়ার লক্ষ্যে উপস্থিত অতিথিবৃন্দদের সম্মুখে বিভিন্ন মতামত ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভার আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় র্যালিতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারী,কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।