মোঃ মিজানুর রহমান-বার্তা সম্পাদক
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে না গিয়েও আহতদের তালিকায় নাম এসেছে এক বৃদ্ধ দম্পত্তির।আর এই দম্পত্তির নাম শামসুল আলম (৫৫) ও ফাতেমা (৫০)।জানা যায়,শামসুল আলম উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা ও তার স্ত্রী ফাতেমা গত ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন।জানা যায়,গত ১৩ আগস্ট বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন বরাবর আন্দোলনে আহতদের একটি তালিকা প্রেরণ করা হয়।আর এ তালিকাতে স্থান পায় ৩২ জনের নাম।তালিকাটি নিয়ে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, শামসুল আলম ও ফাতেমা দম্পত্তি গত ৪ আগস্ট পারিবারিক দ্বন্ধে আহত হয়ে চিকিৎসা সেবা নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।তাদের ওইদিনের ব্যবস্থাপত্র এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।তারা আন্দোলনে আহত হননি এমনকি আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেননি।সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,এক প্রতিবেশীর সাথে চলাচলের রাস্তা নিয়ে দ্বন্ধে এই দম্পত্তি আহত হন।পরবর্তীতে স্থানীয় শালিস দরবারও হয় এ ঘটনাটি নিয়ে।শালিসে উপস্থিত ছিলেন,আহত ব্যক্তিদ্বয় ও প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই দম্পত্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হননি।এছাড়া তালিকায় নাম ও মুঠোফোন নাম্বার থাকা আরেক ব্যক্তিকে কল দিলে তিনি বলেন তার বাড়ি নারায়নগঞ্জ।তিনি আন্দোলনে যাননি।কে বা কারা তার নাম্বারটি ব্যবহার করেছে তা তিনি জানেন না।তালিকার ব্যক্তির নাম ও মুঠোফোনের মালিকের নামের সাথেও কোনো মিল নেই।এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমানে দায়িত্বে থাকা (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) আরএমও ডা. রাবেয়া বলেন,তালিকাটি আমরা রিভাইসড দিয়ে সংশোধন করে নতুন তালিকা তৈরি করবো।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম বলেন,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শুধু নিহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের কোনো তালিকা আমরা পাইনি।আন্দোলনে যায়নি,পারিবারিক দ্বন্ধে আহত এমন ব্যক্তিদেরও আহতদের তালিকায় যাছাই বাছাই ছাড়া অন্তুর্ভুক্তি করা নিশ্চিত।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলদের দায়িত্বে অবহেলা বলে মন্তব্য করছেন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র সমাজ।তারা কিভাবে বা কিসের কারনে এমনটা করেছে তা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বের করার জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কাছে আহ্বান জানান ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানুষজন।