মো.খসরু মিয়া (বাজিতপুর)
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মারজান মিয়া (৩৫) একই ওয়ার্ডের দুই সন্তানের জননী এক হিন্দু নারীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন।বেকী চন্দ্রগ্রামের মৃত আমির চাঁনের ছেলে মারজান।উধাও নারী কামালপুর গ্রামের হরিধন সূত্রধরের স্ত্রী পলি সূত্রধর (৩৩)।এ নিয়ে স্বামী হরিধরন সূত্রধর বাদি হয়ে ইউপি সদস্য মারজান মিয়ার নামে বাজিতপুর থানায় অপহরণের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগপত্র ও নারীর স্বামীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,ইউপি সদস্য বিভিন্ন সময় নারীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড দিয়ে সহযোগিতা করতেন। নারীর স্বামীর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে ইউপি সদস্যের।ইউপি সদস্য মারজান মিয়া প্রায়ই ওই নারীর বাড়িতে আসতেন।তিনি নিজেও বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।
গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ইউপি সদস্য মারজান মিয়া ওই নারীর শ্বাশুরী ও বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য আনতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাঠায়।আর এই সুযোগে পলিসূত্রধরকে নিয়ে অজ্ঞাত কিছুলোকজনসহ সিএনজিযোগে পালিয়ে যায় তিনি।এসময় বাড়িতে পলিসূত্রদের ছোট দুটি কন্যা সন্তান ছিলো।তারা কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসার আগেই পালিয়ে যায় ইউপি সদস্য।
পলিসূত্রদের স্বামী ও পরিবারের দাবি ইউপি সদস্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে দিনেদুপুরে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।অন্যদিকে ইউপি সদস্যদের স্ত্রী নাজমা আক্তারের(২৭) দাবি তার স্বামীকেই ওই নারী প্রেমে পাগল করে পরিকল্পনা করে পালিয়ে গেছে।প্রায় আড়াই বছর ধরে দুজনের মধ্যে পরকিয়া সম্পর্ক চলছিলো।স্বামীর এ অনৈতিক সম্পর্কের কথা তিনি আগেই জানতেন।এ নিয়ে পারিবারিকভাবে স্বামীকে বেশকয়েকবার নিষেধও করা হয়।তিনি কথাও দিয়েছিলেন সম্পর্ক আর না রাখার।তাকেও এভাবেই বিয়ে করেছিলেন মারজান মিয়া।তিনি এ প্রতিবেদককে ইমুর মাধ্যমে স্বামী মারজান ও পলি সূত্রদের সাথে কথা বলিয়ে দেন।ইমুর মাধ্যমে পলিসূত্রধর পরিচয়ে ওই নারীর দাবি,তিনিই পরিকল্পনা করে ইউপি সদস্য মারজানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।ইউপি সদস্য তাকে অপহরণ করেনি।মারজানের স্ত্রী ইমুতে একটি কথোপকথনের রেকর্ডও শুনান এই প্রতিবেদককে।কল রেকর্ডে শুনা যায়,বাজিতপুর থানার ওসি পরিচয়ে পলি সূত্রধরের সাথে কথা বলছেন একজন। ওই নারী স্বীকার করেন তিনি নিজ ইচ্ছায় পরিকল্পনা করে ইউপি সদস্যকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
এ নিয়ে বাজিতপুর থানার ওসিকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান,তারা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।এ দিকে পলিসূত্রদের স্বামী চায় তার স্ত্রীর সন্ধান।দুটি সন্তানের মাকে পরিবারে দ্রুত ফেরত চেয়ে ইউপি সদস্যের যথোপযুক্ত বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।