খায়রুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ থেকে:
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় অনিয়মই নিয়ম ও জনবল শুন্যতায় নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।ফলে সেবার পরিবর্তে দুর্ভোগে রয়েছে এ জেলা কার্যালয়ের কর্মরত কর্মচারীরা তার মাঝে আধিপাত্য বিস্তার ও মনগড়া অফিস চালানো যেন নিত্য দিনের ঘটনা।
অনেক অনিয়ম দেখেও না দেখার অভিনয় করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে এমন ঘটনাও এখন অহরহ।বিভিন্নসুত্রে পাওয়া তথ্যে জানাযায়,কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও উক্ত কার্যালয়ের কর্মচারীদের যোগসাজশে উপজেলা পর্যায়ের কর্মচারীদের হয়রানি মূলক বদলিও ক্ষমতার অপব্যবহারের অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আর আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্যের প্রভাবে জেলা অফিসের কর্মচারীরা রয়েগেছে বহাল তবিয়তে। জেলা অফিসের ধারা বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
একটি সূত্রে জানা গেছে জেলার উপপরিচালক গত ফেব্রুয়ারি /২৪ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় যোগদান করেলেও ৭ থেকে ৮ মাস পরেও সংবর্ধনার নামে বিভিন্ন উপজেলায় নিন্মভুক্ত কর্মচারী কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছেন।একেকজন নিম্ন ভোক্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি অনেকের।এই বিষয়ে উপজেলা কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করা হলে তাড়া বদলি ও হয়রানির ভয়ে মুখ খুলছেন না।অন্যদিকে জেলা অফিসের লোকজন ১৫/২০ বছর একই অফিসে চাকুরী করলেও বদলি কি তা জানেই না।কিশোরগঞ্জ জেলা কর্মচারীদের মধ্যে ২ যুগ পার করলেও সমস্যা নেই তাদের।তথ্যমতে এ অফিসে তত্ত্বাবধায়ক প্রেমাশীষ ভৌমিক,১০(দশ) বছর – সার্টলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর বিপুল ভট্টাচার্য, ২৫(পঁচিশ) বছর-প্রজেকশনিষ্ট কামরুজ্জামান খান ১৬(ষোল) বছর-সাটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর জামাল উদ্দিন,২৫(বছর) ক্যাশিয়ার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন) ১৫(পনের)বছর- এরা বদলির জন্য ২০থেকে ৩০হাজার টাকা,পেনশনের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা,ল্যামগ্রেন্টের জন্য ১০ হাজার টাকা,জিপিএফ মঞ্জুরির জন্য ৫ হাজার টাকা বিভিন্ন ছুটির জন্য ৫ হাজার টাকা সহ যে কোন কাজ নিয়ে গেলে টাকা দাবি করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।টাকা না দিলে হয়রানি ও বদলির ভয় দেখিয়ে হলেও হাতিয়ে নেন টাকা।জেলা অফিসের কর্মচারীরা উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে অত্যন্ত খারাপ এবং উদ্যোক্তপূর্ণ আচরণ করেন বলেও জানান অনেকে।সরকারি বিধিমালায় ৩ (তিন) বছরের বেশি একই কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকার পরেও জেলা অফিসে কর্মচারীরা ১০ বছর থেকে ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে কোন এক অদৃশ শক্তির বলে বহাল রয়েছেন।বিগত দিনেও জেলা অফিসের উপপরিচালক ও জেলা অফিসের কর্মচারীদের বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলেও কোন এক অদৃশ্যের শক্তির কারণে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,উপজেলা কর্মরত জনবল বদলিতে জেলা অফিস, বিভাগীয় অফিস বা অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তবে জেলা অফিসে কর্মরতদের তালিকা করে আমি বিভাগীয় অফিস ও অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি।সম্ভবত আগামী মাসে বদলীর কার্যক্রম শুরু হবে।অফিসের বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয় তিনি বলেন,বিভাগীয় অফিসারগনের সময়মতো তদন্ত হবে তা উপরস্থ কমিটি রয়েছে।
বদলীজনিত বিষয় জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা,
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন কিশোরগঞ্জ জেলা অফিসের কর্মচারীদের বদলীর ফাইল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।