1. admin@auchsangbad.com : admin :
আরবী হিজরি সাল নিয়ে হযরত ওমরের দুরভিসন্ধি - আউচ সংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে চলছে জন্মনিবন্ধন ক্যাম্পেইন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জনগণের উপর প্রতিশোধ নিয়েছে- ইকবাল হাসান মাহমুদ টুুকু দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৯বম বর্ষফূর্তি অনুষ্ঠিত  সা’দ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবীতে ঈদগাঁওতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত  কটিয়াদীরের কৃতি সন্তান পদোন্নতি পেলেন উপ- সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইছমাইল হোসেন ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানে ২০ টি ভারতীয় মদের বোতলসহ গ্রেফতার-০২ কিশোরগঞ্জ সদর কলাপাড়ায় দারুস্ সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে শীত ও ঘন কুয়াশায় মানুষের দুর্ভোগ নান্দাইলে পঙ্গু মামুন কে হুইল চেয়ার প্রদান নিম্নচাপের প্রভাবে দুমকিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি,বাড়তে পারে শীত

আরবী হিজরি সাল নিয়ে হযরত ওমরের দুরভিসন্ধি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত

মোজাম্মেল হোসাইন

আবু বকর যখন ওমরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে, তখন ওমর ক্ষমতায় বসে আরবী হিজরি সাল প্রথা চালু করে। নি:সন্দেহে ইহা একটি ভালো কাজ। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে অন্য জায়গায়। ওমর মহররম মাসকে প্রথম হিজরি সালের প্রথম মাস হিসাবে গণনা করার প্রথা চালু করে। ওমর মহররম মাসকে কেনো আরবি হিজরি সালের প্রথম ঘোষণা করলো, তার কারণ বলার আগে একটু ইংরেজি সালের কথা বলি। খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা ইংরেজি সালের প্রথম মাস হিসাবে চালু করে জানুয়ারি মাসকে। কারণ হযরত ঈসা (আ:) নবী ২৫শে ডিসেম্বর জন্ম গ্রহন করে। যেহেতু খ্রীষ্টানরা তাদের ধর্মগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে মহা ধুমধামের সহিত পালন করে, তাই জানুয়ারি মাসকে তারা প্রথম মাস হিসাবে গণনা শুরু করে। বাংলা নববর্ষে বৈশাখ মাসকে প্রথম মাস হিসাবে গণনা করা হয়। কারণ বৈশাখ মাসে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে নতুন ধান গোলায় ওঠে। যা বাঙালির জন্য উৎসব আমেজের দিন। মূল কথা প্রতিটি সাল উৎসব এবং আনন্দের দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু হযরত ওমর কঠিন কারচুপি করে রাসূলে খোদা যেদিন মক্কা থেকে বিতাড়িত হয়ে মদিনায় হিজরত করলেন, সেই দিনটিকে আরবী সালের প্রথম মাস হিসাবে গণনা করা হয়। বলুন তো এরচেয়ে দু:খজনক আর কি হতে পারে? রাসূলে খোদা নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আল্লাহর হুকুমে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে মদিনায় হিজরত করে। সেদিন রাসূলে খোদা মনের দু:খে অঝোর নয়নে কান্নাকাটি করছিলো। আর কা”ফের সম্প্রদায়রা বিজয় উল্লাস করে আনন্দ উদযাপন করেছিলো। কাফের সম্প্রদায় লোকজন কেয়ামত পর্যন্ত এই দিনটিকে আনন্দ উদযাপন করবে। আর একটি অন্তনির্হিত কারণ রয়েছে। রাসূলে খোদা সকল সাহাবীর সামনে ভবিষ্যৎ বাণী করে যান, এই মহররম মাসেই আমার প্রিয় নাতি ইমাম হোসাইন কারবালার ময়দানে শহীদ হবে। এখন একটু ঝেড়ে কাশ দিয়ে বলুন তো, আরবী হিজরি নববর্ষ কি মুসলমানদের জন্য আনন্দ হতে পারে নাকি ব্যদনার। এটা আমি আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। রাসূলে খোদা যেদিন মক্কা বিজয় করেছিলো, সেদিন মুসলমানদের জন্য ছিলো আনন্দের এবং কা”ফেরদের জন্য ছিলো ব্যদনার। রাসূলে খোদার নিকট যেদিন কোরআন শরিফ নাজিল হয়, সেদিন ছিলো আমাদের জন্য আনন্দের। ধরাধামে যেদিন নবুওয়াত প্রকাশিত হয়, সেদিন ছিলো আমাদের জন্য আনন্দের। তারচেয়েও সৃষ্টি কুলের সবচেয়ে বেশী আনন্দের দিন ছিলো, যেদিন রাসূলে খোদা ধরাধামে শুভ আগমন অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করে। এইদিনগুলো অর্থাৎ মাসগুলো ছিলো মুসলমানদের জন্য মহা আনন্দের আর কা”ফেরদের জন্য ছিলো ব্যদনার। কিন্তু অদৃষ্টের নির্মম পরিহাসে রাসূলে খোদা যেদিন মক্কা থেকে কা”ফেরদের দ্বারা বিতাড়িত হলেন এবং মাওলা ইমাম হোসাইন যে মাসে শহীদ হলেন, সেই মহররম মাসকে আরবি হিজরি নববর্ষ প্রথম মাস হিসাবে গণনা করা হয়। যা ছিলো কা”ফেরদের বিজয় ও আনন্দ উল্লাসের এবং মুসলমানদের জন্য ব্যদনার। এখন আপনারা বিবেচনা করুন, আমরা মুসলিমরা কতোটা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আর এই গভীর ষড়যন্ত্রের মূল খলনায়ক ছিলো হযরত ওমর। কারণ হযরত ওমরই মহররম মাসকে আরবি সালের প্রথম মাস হিসাবে চালু করে। এরচেয়ে দু:খজনক আর কি হতে পারে ভাই। এই বাস্তব কঠিন সত্য কথা প্রকাশ করলেই আমরা সাহাবী বিদ্নেষী শিয়া হয়ে যাই। বলুন তো সত্যকে আর কতকাল ধামাচাপা দিয়ে রাখবেন। এই ষড়যন্ত্রের জন্য মুসলমানরা আজ জেনে হোক আর না জেনে হোক ব্যদনার দিন আনন্দ উদযাপন করে। যা ছিলো তৎকালীন কা”ফেরদের রীতিনীতি। আর আমরা মুসলমানরা পথভ্রষ্ট খাদের কিনারায় চলে গেলাম। আপনি কি জানেন! মাওলা ইমাম হোসাইনকে শহীদ করে তাঁর মা”থা মোবারক ব”র্শার আগায় বি”দ্ধ করে ইয়াজিদ বাহিনী শহরের অলি গলিতে আনন্দ মিছিল করেছিলো। আরবী নববর্ষ মহররম মাস আসলেই প্রতি বছর আনন্দ উদযাপন করা হতো। আহলে বাইত বিদ্বেষী উমাইয়া এবং আব্বাসীয়রা যুগের পর যুগ শতশত বছর ধরে এই প্রথা বজায় রেখেছিলো। আজো এই প্রথা চালু রয়েছে আরব দেশগুলোতে। আমরা কি সেই খবর একবারও রেখেছি ভাই। জানবেন কিভাবে, আমাদের চারপাশে ইয়াজিদের উত্তরসূরী আলেমগণ আমাদের কঠিন সত্য জানতে দেয়নি বরং উল্টো পাল্টা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদেরকে পাক পাঞ্জাতন বিরোধী করে গড়ে তুলছে। এখনো সময় আছে ভাই, সত্য জানুন এবং সত্যকে মেনে নিন। সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। মহান মালিক আমাদের সবাইকে হেদায়েত নসিব করুক এবং সত্য জানা ও মানার জন্য তৌফিক ভিক্ষা দিক।জয় পাক পাঞ্জাতনের জয়। জয় মোহাম্মদী ইসলামের জয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

© All rights reserved © 2022 Auch Sangbad

Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!