নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বিমা প্রশাসকদের সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ’ প্রশাসক দিয়ে কোম্পানিটির ফিল্ড স্টাফদের ভবিষ্যত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।এমতাবস্থায় কোম্পানিকে বাঁচাতে ও ব্যবসায়িক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইডিআরএ কর্তৃক নিয়োগকৃত ‘অনভিজ্ঞ’ প্রশাসককে দ্রুত অপসারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখিত দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা হলেন, সোনালী লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম,উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী,উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মো. গোলাম মোস্তফা,সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুর মোর্শেদ।
এই পাঁচ কর্মকর্তার অভিযোগ পত্রে সোনালী লাইফে নিয়োগকৃত প্রশাসক দ্রুত অপসারণ করে পুরাতন বোর্ড পূর্ন:বহাল এবং সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ হতে যোগ্য নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় কোম্পানির মাঠকর্মীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের লক্ষ্যে গত ২১ এপ্রিল একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য নিয়োগ করেছেন। যিনি ইন্স্যুরেন্স সর্ম্পকে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ এবং কোম্পানীর মৌলিক ভিত্তি তথা ব্যবসা ও কোম্পানির কর্মীদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা বন্ধের মাধ্যমে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুপরিকল্পিত চক্রান্তে মেতে উঠেছেন।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে নানাভাবে সুবিধা নেওয়া এবং কোম্পানির বিভিন্ন দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের নামে কোম্পানির সাময়িক বরখাস্ত পরিচালকদের অপসারণ করে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র কোম্পানিটি দখলের চেষ্টা করছে।সোনালী লাইফের কর্মকর্তাদের দাবির বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ’র মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কোম্পানীটি থেকে যখন শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তখন তারা কেন নিরব ছিল, কেন প্রতিবাদ করেনি? যারা এই অনিয়ম করেছে তাদের ঠেকানোর চেষ্টাও করেনি।তিনি বলেন, এখন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তারা অন্যায় করবে। প্রশাসককে সহযোগিতা করে কাজ করার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। সব কিছু নিয়ম মেনে চলতে দিতে হবে।
তবে সোনালী লাইফের কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা গত ১০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই যে, গভীর চক্রান্ত করে যে সকল পরিচালকদের কোম্পানিটি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কোম্পানির ওইসব পরিচালকদের প্রতি আমরা ৩০ হাজার কর্মী সম্পূর্ণ আস্থাবান।তারা বলছেন, যদি কোনো অনিয়ম পূর্ববর্তী সিইও মীর রাশেদ বিন আমান ও কতিপয় বিপথগামী অফিসারদের সহযোগিতায় হয়ে থাকে, আমরা তাদের নিরপেক্ষ তদন্ত স্বাপেক্ষে শাস্তি দাবি করছি।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসককে সহযোগিতা না করা এবং অর্থমন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করা এই কর্মকর্তারা নিজেরাও আইডিআরএ’র নিয়ম বহির্ভূত ইনসেন্টিভ বা সুযোগ সুবিধাভোগ করে কোম্পানিটিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।তিনি আরো বলেন, এখন প্রশাসক আইডিআরএ’র নিয়মে চলতে গেলে তাদের সুবিধা আটকে যায়, সেজন্য তারা নিয়োগকৃত প্রশাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।