সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।নোটিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম)।সোমবার (৬ মে) সকালে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের শোকজ করা হয়েছে।মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়,দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন।এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না তা জানতে ৫মে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।অপর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, অপর প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন অপর প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল।এছাড়াও রোববার (৫ মে) রাতে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগও পাওয়া গেছে।এমন কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে ৬ মে সকালে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।নোটিশে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।