বিশেষ প্রতিবেদক
৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের ৭ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। বেসরকারী ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।তারা হলেন,কিশোরগঞ্জ -২ আসনের বিতর্কিত,বিএনপি থেকে ছয়বারের বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান রঞ্জন।নির্বাচনে তিনি ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৯ ভোট।এ আসনের দুই উপজেলায় মোট ভোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২ জন ভোট দিয়েছেন।সে হিসেবে মেজর(অব.)আখতারুজ্জামান রঞ্জন তার জামানত হারিয়েছেন।ভোটের প্রচারের মাঠে তার নির্বাচনী পোষ্টারে উপরে উপরে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান।কিন্তু তলে তলে তিনি অন্য দলের জয়গান গেয়ে দুই উপজেলার আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিগনিত হন।এছাড়াও নির্বাচনে আলেয়া বেগম(এনপিপি)নির্বাচনে আম প্রতীকে ২৬৫ ভোট,গণফ্রন্টের মীর আবু তৈয়ব রেজাউল করিম মাছ প্রতীকে ১২৮ ভোট,গণতন্ত্রী পার্টির আশরাফ আলী ৫৮৯ ভোট ও বিএনএম পার্টির বিল্লাল হোসেন ১১৫২ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন।পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোট বৈধ ভোট সংখ্যা ৮০৯৯৮টি।বাতিল ভোট ৯২২টি।সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ৮১৯২০ ভোট। কটিয়াদী উপজেলায় বৈধ মোট ভোট ৯৫৭৫২টি।বাতিল ভোট ১৪১০টি। সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ৯৭১৬২ জন।কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।উল্লেখ্য,কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনে ২০ হাজার ৬০৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো: সোহরাব উদ্দিন (ঈগল)।তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাহার আকন্দ (নৌকা)পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।