কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্স থাকার পরেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক রোগী।সদর ইউনিয়নের দঃ রাজিব মন্ডল পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বাবু মিয়া(২৬)ও তার মা গোলাপি বেগম অভিযোগ করে বলেন,এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে থাকার পরেও ড্রাইভার আমাদের প্রাইভেট মাইক্রোবাস ভাড়া করে রোগীকে রংপুরে নিয়ে যেতে বলেন।তাদের অভিযোগ সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আব্দুস সামাদ হাসপাতালের পিচনে কোয়াটারের কাছে এ্যাম্বুলেন্স লুকিয়ে রেখে প্রাইভেট মাইক্রোতে বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে বলে।এবং ঐ মাইক্রোবাসটিও নাকি ড্রাইভার আব্দুস সামাদের।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সরকারী এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের পিচনে কোয়াটারের কাছে রয়েছে।ড্রাইভার তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরাতন মোটরসাইকেল বিক্রির শো-রুমে বসে আছেন।বাবু মিয়া বুধবার ২ আগস্ট দুপুর ১২.০৫ মিনিটে তার প্রসাব,পায়খানা ও পেট ব্যাথার কারণে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হন।কিন্তু তার পেটের ব্যাথা কিছুতেই কমছিলোনা তাই তিনি ডাক্টার কে বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে নেন।কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আব্দুস সামাদকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি রংপুরে আছি অন্য গাড়ী ভাড়া করেন।অথবা আমার নিজস্ব একটি গাড়ী আছে সেটাও নিতে পারেন কিন্তু ভাড়া লাগবে ২ হাজার টাকা।যেখানে সরকারী ভাড়া ৯ শত ৫০ টাকা সেখানে ড্রাইভার আব্দুস সামাদ ২ হাজার টাকা চান। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে ড্রাইভার আব্দুস সামাদ সরকারী এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের মূল ফটকের কাছে নিয়ে আসেন।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সুফি মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।