আবুল হাশেম,রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী,বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহানগরী।রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব গ্রীনসিটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে র্যাব সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে র্যাব প্রস্তুত।বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্যান্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব এর অফিসার,ডিএডিসহ মোট ৩০০ জন র্যাব সদস্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স,সাদা পোশাকে গোয়েন্দা এবং বোমা নিস্ক্রিয়কারী হিসেবে নির্বাচনে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত থাকবে।র্যাব-৫ এর ১৫টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং পেট্রোল, স্ট্রাইকিং ফোর্স কমান্ডারসহ ১০টি জীপ,২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ টিম,সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল,সুপার মোবাইল মোটর সাইকেল টিম এবং এ্যাম্বুলেন্স নির্বাচনের দিন আইন-
শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত থাকবে।যেকোন উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়নের জন্য র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স হেলিকাপ্টারসহ যেকোন পরিস্থিতিতে মোতায়েন এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।এছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতি তদারকির জন্য নির্বাচন সেল এবং কন্টোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।নির্বাচনে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে অথবা সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ কারী অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভোটার নন এরকম নাগরিকদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ অথবা ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে অনুপ্রবেশকারী কোন ব্যক্তিদের অপতৎপরতা আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর ভাবে দমন করবে।অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা ইতি মধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি।নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালে সকল নাগরিক’কে কোন প্রকার লাইসেন্স ধারী অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করার জন্য কঠোর ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক নাগরিক’কে নিজ নিজ এনআইডি কার্ড বহন এবং জেলা প্রশাসন এর নির্দেশনা অনুযায়ী অঅনুমোদিত যানবাহন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।নির্বাচনী বিধিনিষেধ পরিপন্থি কোন কার্যক্রম ঘটলে আপনারা রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট কোন সহযোগিতা চাইলে র্যাব দ্রুততম সময়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব ফোর্সেস বন্ধপরিকর।