সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ: বিএনপি-জামাতের আমলে এই অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদে লিপ্ত ছিল। লুটপাট সন্ত্রাস, বাংলা ভাই সবই বিএনপির। তাদের সময় সাক্ষরতার হারও কম ছিল। বিএনপি নেত্রী উর্দু ছাড়া কোনও বিষয়ে পাস করেনি। জিয়াউর রহমান ম্যাট্রিক পাস। তার ছেলে কোনও এক জায়গা থেকে একটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে শিক্ষিত হয়েছে। এজন্য তারা শিক্ষার-দীক্ষায় অমনোযোগী। আজকে সাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশের ওপরে। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন।বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ওয়াই ফাই এসেছে।এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।আজকে ঘরে বসেই ছেলে-মেয়েরা অনলাইনে আয় করতে পারছে। বেসরকারি ভাবে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আ.লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৩৫ লাখ মানুষ ঘর পেয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও ৪০ লাখ মানুষ ঘর পাবে।
ময়মনসিংহে ৭৩টি সমাপ্ত ও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি। এই যে এতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম এগুলো ধ্বংসের নমুনা কি? তা আপনারাই বলুন। তারা তো এতিমদের টাকা মেরে খায়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলমান। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াই তারা এসে কমায়। আমরা প্রতিটি ঘর আলোকিত করতে চাই। আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম তাহলে তারা এতকিছু বলতে পারত না। ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ করার।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যরা।