নিকলী প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। কিন্তু পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নিচ্ছে না নিকলী থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, দুই বছর পূর্বে নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের অফিস পাড়া গ্রামের নবী মিয়ার ছেলে মোঃ হোসাইন (২৬) এর সাথে নিকলী মীরহাটি গ্রামের মোঃ আক্কাছ আলীর মেয়ে মাহিনূর (২০) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হয়।তবে বিয়ের কিছু দিন না যেতেই যৌতুকের টাকা জন্য মাহিনূরকে শিকার হতে হয় শশুর বাড়ির অমানবিক নির্যাতনে।পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপের দিকে যেতে থাকায়। এ বিষয়ে আক্কাছ আলী জানান, আমার মেয়ে মাহিনূরকে সুযোগে হোসাইন সহ তার বাড়ির সবাই বিভিন্নভাবে তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। তাদের দাবি যৌতুক হিসেবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও আমার মেয়েকে নানান রকম কথায় কথায় বিভিন্ন কটূ কথা শুনতে হয়। যার কারণে আমার মেয়ে দিন দিন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, তার মেয়ে মাহিনূর কে স্বামী প্রায় প্রতিদিনই মারধরসহ গালিগালাজ আজেবাজে কথা বলে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দিলে তাকে আরও মারধর করা হবে বলেও হুমকিধামকি দেওয়া হয় ।এ বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা দুই পরিবারকে সালিসি বিচারের মাধ্যমে সব বিষয়ে মীমাংসা করতে বসে। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়, ঘটনা দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাধারণ ঘটনা কে কেন্দ্র করে স্বামী হোসাইন মাহিনূরকে আবারো যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে হোসাইনের বাবা নবী মিয়া জানান, আমার ছেলে উপরে যে, অভিযোগ উঠেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে মাহিনূরের বাবা মোঃ আক্কাছ আলী গত বৃহস্পতিবার রাতে নিকলী থানায় হোসাইনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেওয়ার পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নিচ্ছে না নিকলী থানার পুলিশ, এবং মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, তাকে এস আই জুবায়ের হোসেন থানায় ডেকে এনে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে মামলা নিবে, না দিলে মামলা নিবে না বলে উল্লেখ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুবায়ের জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নিবো বলে তিনি জানান। নিকলী থানার ওসি মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ এই বিষয় প্রশ্ন করলে এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে উল্লেখ করেন।