কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। কিন্তু দুই দিন পাড় হলেও মামলা নিচ্ছে না নিকলী থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, দুই বছর পূর্বে নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের কারার অফিস পাড়া গ্রামের নবী মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন (২৬) এর সাথে নিকলী মীরহাটি গ্রামের মোঃ আক্কাছ আলীর মেয়ে (২০) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হয়।তবে বিয়ের কিছু দিন না যেতেই যৌতুকের টাকা জন্য গৃহবধূ শিকার হতে হয় শশুর বাড়ির অমানবিক নির্যাতনে।পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপের দিকে যেতে থাকায়। এ বিষয়ে আক্কাছ আলী জানান, আমার মেয়েকে সুযোগে হোসাইন সহ তার বাড়ির সবাই বিভিন্নভাবে তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। তাদের দাবি যৌতুক হিসেবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও আমার মেয়ে নানান রকম কথায় কথায় বিভিন্ন কটূ কথা শুনতে হয়। যার কারণে আমার মেয়ে দিন দিন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, তার মেয়কে স্বামী প্রায় প্রতিদিনই মারধরসহ গালিগালাজ এবং তার বাকশক্তিহীনতা নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দিলে তাকে আরও মারধর করা হবে বলেও হুমকিধামকি দেয়া হয়। নির্যাতন অসহনীয় মাত্রায় চলে যাওয়ায় নির্যাতনের বিষয়ে জানায়। এছাড়াও মারধরের জখম দেখিয়ে নির্যাতনের বিষয় নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা দুই পরিবারকে সালিসি বিচারের মাধ্যমে সব বিষয়ে মীমাংসা করতে বসে। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়, ঘটনা দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাধারণ ঘটনা কে কেন্দ্র করে স্বামী হোসাইন গৃহবধূ কে আবারো যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে মোঃ আক্কাছ আলী নিকলী থানায় হোসাইন কে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুবায়ের জানান, ওসি সাহেব বললে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন। নিকলী থানার ওসি মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ এই বিষয় প্রশ্ন করলে সে উত্তেজিত হয়ে বলেন এই ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।