ডাক্তার দেখাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মা ও মেয়ে।
শ্রীঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
মধ্য রাতে ঢাকা- বরিশাল মহা সড়কের জাজিরা নামক এলাকায় রোগীবহনকারী এম্বুলেন্স ও ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ৬ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ০২ টার দিকে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে প্রাণ দিতে হয় তাদের। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্য পটুয়াখালীর বাউফলের জাহানারা বেগম (৫৫), তাঁর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩২), তাঁদের স্বজন ফজলে রাব্বী (২৮)। অসুস্থ জাহানারা বেগমকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সবার।
এদিকে নিহত ০৬ জনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের আনারশিয়া গ্রামে। নিহত জাহানারা ও তার মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী। গত তিন মাস আগে তারা বাড়ি আসেন। নিহত জাহানারা বেগমের বড় ভাই আশ্রাফ আলী খান(৭৫) জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার বোন জাহানারা বেগম অসুস্থ হয়ে পারলে তাকে বরিশালের বাসা থেকে একটি এম্বুলেন্স ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মা ও মেয়ে ছাড়াও সাথে তার ভাইয়ের এক বন্ধু ছিল। তিনিও ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এছাড়াও এম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও তার এক সহযোগীসহ মোট ৬ জন মারা গেছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান গ্রামের বাড়ি বাউফলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই।অন্যরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ ঘটনার পর তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছেন। তাদের এই অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের মাতম চলছে। দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যু
দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঢাকা- থেকে সড়কে বীর ব্যবসায়ী বাড়িসংলগ্ন রাস্তায় সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত ওই এলাকার বীর ব্যবসায়ী একটা ছেলে।
নিহতের স্বজন ও থানাসূত্রে জানা যায়, থাকায় একটি চিকিৎসাধীন। তাকে দেখার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে টার দিকে বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে নামক স্থানে সল আহতাবস্থায় রাস্তার পাশে এবং অপর পাশে ব্যবহৃত পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ভ্যানচালক। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মহাসড়কের কোনো যানবাহনের সঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। এ ব্যাপারে জেলার ওসি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট মরদেহটি হস্তান্তর করা হইয়াছে।