আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ।
শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা ৪ একর জমির আধা পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (০৯/১২/২০২২ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে জোর পূর্ব ধান কাটিয়ে নিয়ে যায়। থানা রাঙ্গাবালী, মৌজা চর মার্গারেট, ৪ নং ওয়ার্ড মোস্তফা।চর মার্গারেট গ্রামে ধান কাটা শুরু করলে পুলিশ গিয়ে দেখে ধান কাটা হয়ে গেছে,আদালতে নিষেধ অম্যান করিয়া জোর পূর্ব ধান কাটিয়ে নিয়ে যায়। বন্ধ করে দেয়। ততক্ষণে প্রতিপক্ষ বিপুল পরিমাণ আধা পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
অভিযোগে জানা গেছে, চর মার্গারেট মৌজা , খতিয়ানের এসএ ১৭৩ নং দাগ ২০৯/১,২০৯/২, ৪একর ৪০৪ শতাংশ সম্পত্তির, আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারার মোকদ্দমা আনায়ন করি দায়ের করা হয়। মামলাটির আদেশের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে পিটিশন (১০২৮/২২ দায়ের করা হয়। আদালতে ১ মাস মামলা চলমান থাকা অবস্থায় পর্যালোচনায় উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের চালু হলে সেখানে আপিল মোকদ্দমা চালু করতে পারবে। এছাড়াও উক্ত জমিতে যে যেভাবে দখলে বিদ্যমান আছে সেখানে স্থিতি অবস্থা জারী করেন।”
উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দলিল অনুযায়ী মামলা চলমান রয়েছে। আগামী জানুয়ারী বাদী পক্ষের স্বাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য রয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, আদালতের নির্দেশে জমিতে চাষাবাদ, বীজ রোপন, সার দেয়া এবং জমির ধান সুরক্ষায় দেয়া হয়। জোর পূর্ব মোস্তফা, জাহাঙ্গীর, কাদের মোল্লা, এন দাত গাজী একদল প্রতিপক্ষরা জমির বিপুল পরিমান (২৬০ আঁটি) আধা পাকা ও কাঁচা ধান অবৈধভাবে কেটে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে শ্রীঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া দাবি করে জানান, ওই জমি দলিলমূলে প্রায় ১৫০ বছর আগে কালু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতিপক্ষের কাজ থেকে দীর্ঘ বছর আগে ক্রয় করেছিলেন। ক্রয়কৃত ওই জমির দলিলমূলে মালিক হওয়ায় ধান কেটে নিয়েছি। তবে জমি প্রতিপক্ষের বাড়ির কাছে হওয়ায় চাষাবাদ প্রতিপক্ষরাই করেছে, মাত্র ৪ একর জমির ধান কাটা হয়েছে তা নেয়া হয়নি। পুলিশ যাবার আগে মেশিন দিয়ে ধান কাটিয়ে নিয়ে যায়। এমন কি বাড়ি ঘরের গাছ কেটে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ক্রয়কৃত জমি দখলে নিতে গেলে প্রতিপক্ষরা মামলা করে দখলে নিতে বাধা দিচ্ছে।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি (তদন্ত) অফিসার ও ইনচার্জ মোঃ নুরুল উদ্দিন জানান, বিরোধীয় জমির ধান কাটার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখে ধান কাটিয়ে ফলে এমন কি মাপা হয়ে যায় ধানের পরিমাণ হয়েছে ১৬০ মন ধান পাওয়া গেছে। তা স্থানীয় রাখা হয়েছে। যাদের জমির দলিল পাওয়া যায় যে চাষাবাদ করেছে ও বীজ রোপন করেছে তিনি ওই জমির ধান পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট মোহাম্মদ সাঈদুল হক সাঈদ শাওন
সম্পাদক ও প্রকাশক : এফ এম আব্বাস উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : ফাহমিদা ইয়াসমিন.
বার্তা সম্পাদক : মিজানুর রহমান.
মফস্বল সম্পাদক : মোঃ সজীব মিয়া.
ঠিকানা : এ এস গন্ধী প্লাজা ৪র্থ তলা জেলা স্বরণী মোড়,কিশোরগঞ্জ।
মোবাইল : ০৯৬৯৭৬৪৮০৩৫, ০৯৬৩৮৯২৩৫২৪,০১৬১৫৩১৮০৩৫
ই-মেইল : auchsangbad@gmail.com