১৬’ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গলাচিপা থানা( ওসি) ইনচার্জ শ্রীঃ শোনিত গাইন।
শ্রীঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু,তোমার মাঝেই শেষ।
তবুও ভাল-লাগা-ভালোবাসা’ময় তুমি আমাদের বাংলাদেশ। ১৬’ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার, বিজয় নিশান।
১৬’ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গলাচিপা থানা ( ওসি) ইনচার্জ শ্রী ঃ শোনিত গাইন
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে, শ্রী ঃ শোনিত গাইন বলেন। ১৬’ই ডিসেম্বর মহান জাতীয় বিজয় দিবস বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন, আত্মগৌরব উদ্দিন ও উল্লাসের দিন. কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান বিজয় দিবস বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে, তাছাড়াও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এবং কোটি বাঙালির রক্ত আত্মনিবেদন ও গৌরব গাঁথা ঘনত্বের পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় নির্যাতিত-নিপীড়িত, বঞ্চিত বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতির জনক ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে যান, শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের দাবিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙালি জাতি শহীদ হন অসংখ্য বাঙালি। সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত সহ আরো অনেকেই, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে জয়লাভ, ১৯৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়ন, ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশনের বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার, ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলন, ছয় দফার আলোকে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন এবং ১৯৭১ সালের ৭’ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম বিজয়ের সংগ্রাম।
শ্রী ঃ শোনিত গাইন আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫’শে মার্চ কাল রাত্রিতে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালি জাতির উপর নৃশংস হত্যার শুরু হলে ২৬’শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পুরো বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা করেন এবং যার যা আছে তাই নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে যুদ্ধের ডাক দেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬’ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনীর যৌথ বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেন এবং বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। সেই দিন থেকে ১৬’ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬’ই ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস পালন করা হয়।
শ্রী ঃ শোনিত গাইন আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি। সলঙ্গা থানা পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা, ও সকলকে জানাই, মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।