আক্কেলপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে শিক্ষক”কে পিটিয়ে গুরুতর আহত প্রাণনাশের হুমকি
নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ও গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তিলকপুর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব ইয়াছিন আলী মাস্টার ও তার স্কুল পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী নাতনি খাতিজা কেও বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করেছে। একই এলাকার মৃত.ইরাজ আলীর ছেলে আব্দুর সোবহান (৫০) ও তার দুই ছেলে সালমান ফার্সি (৩৩) ও কামাল হোসেন (৩০)।
শনিবার (০৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুমা পশ্চিম পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার বিষয়টি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেইসবুকে দেখতে পেরে রাতেই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ছুটে যান আহত শিক্ষক আলহাজ্ব ইয়াছিন আলীর বাসায়।দিবাগত রাতে আনুমানিক ১০ টায় তার বাসায় এবং ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে জানতে পারে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত কোর্টে একটি মামলা চলমান ছিলো। যে মামলায় বিজ্ঞ আদালত শিক্ষক আলহাজ্ব ইয়াছিন মাস্টারের পক্ষে পরপর দুই বার রায় প্রদান করলেও। কিন্তু বিবাদী আব্দুর সোবহান আদালতের রায় অমান্য করে পূনরায় আবারো তিনি সংশোধনীয় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে। জোরপূর্বক একটি জাম গাছ কেটে বিক্রয় করছিলেন এমন সংবাদ পেয়ে দুই বার স্ট্রোকের রোগী শিক্ষক ইয়াছিন মাস্টার উক্ত জাম গাছটি কাটতে বাঁধা প্রদান করলে।ঘটনাস্থলেই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ সোবহান ও তার দুই ছেলে সালমান পার্শি ও কামাল হোসেন দেশীয় দ্বারা এলোপাথাড়ি বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং তার দাঁড়িও টেনে ছিড়ে ফেলেন এমন সময় তার আত্মচিৎকার শুনে শিক্ষকের নাতনি স্কুল ছাত্রী খাতিজা তার দাদাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কি কিল ঘুষি মেরে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা শিক্ষক আলহাজ্ব ইয়াছিন মাস্টার কে উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করাতে আনলে কর্মতর চিকিৎসক হাসপাতালে বেড নেই বলে তাকে ভর্তি না করায়ে শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন তার কোন কাগজপত্র দেননি বলেও জানা যায়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আক্কেলপুর থানায় অভিযোগ করার উদ্দেশ্যে রওনা হলে প্রতিপক্ষরা অসহায় শিক্ষক কে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তারা প্রাণোভয়ে বাড়িতে চলে যান।এতোবড় ঘটনার পরেও কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রায় আনুমানিক ৩০-৩২ হাজার টাকা মূল্যে জাম গাছটি রবিবার সকালে প্রকাশ্যে একটি নছিমন যোগে কাটা গাছ গুলো নিয়ে চলে জান। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ সোবহানের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোন ভাবেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এই ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা এমনকি এবিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওসি আরও বলেন আপনি আমাকে না জানিয়ে এসপি স্যারকে কেন বলেছেন আগে আমার কাছে শুনবেন না। আচ্ছা আপনার যা লেখার লিখুন কিন্তু সত্যটাই লিখবেন বলে ওসি কল টি কেটে দেন।
এর আগে দিবাগত রাতে ঘটনার বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আগে ভুক্তভোগীদের থানায় একটি অভিযোগ করতে বলেন এবং অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সুপারের এমন আশ্বাসের পরে অসহায় শিক্ষক ও তার ছেলের সাথে আবারো কথা বললে তারা বলেন, আক্কেলপুর থানায় প্রতিপক্ষ সোবহানের নিকটতম একজন পুলিশের চাকরি করে তাই অভিযোগ করে আমরা কোন সুফল পাবো কিনা পাবো এবিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পাড়ছি না।